কম্পিউটারের শ্রেণীবিভাগ -
*অ্যানালগ কম্পিউটার
*হাইব্রিড কম্পিউটার
*ডিজিটাল কম্পিউটার-
I. মেইন ফ্রেম
II. মিনি কম্পিউটার
III. মাইক্রো-
1.সুপার মাইক্রো
2.ডেস্কটপ
3.ল্যাপটপ-নোটবুক
পিডিএ (PDA) (Personal digital Assistance)
4.পাম্পটপ
IV. সুপার কম্পিউটার
----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
অ্যানালগ কম্পিউটারঃ যে কম্পিউটার একটি রাশিকে অপর একটি রাশির সাপেক্ষে পরিমাপ করতে পারে তাকে অ্যানালগ কম্পিউটার বলে। অ্যানালগ কম্পিউটারে প্রক্রিয়াজাত ফলাফলকে সাধারণত প্লটারের সাহায্যে বা গ্রাফের সাহায্যে প্রকাশ করা হয়।
উদাহরণঃ মোটর গাড়ির স্পিডোমিটার বেগ নির্ণায়ক যন্ত্র)
ডিজিটাল কম্পিউটারঃ সংখ্যা ব্যবহার করতে পারে এবং ফলাফল সরাসরি মনিটরে দেখানো হয়। আধুনিক কম্পিউটার বলতে ডিজিটাল কম্পিউটারকেই বোঝায়।
হাইব্রিড কম্পিউটারঃ ডেটা গ্রহণ হয় অ্যানালগ প্রক্রিয়ায় কিন্তু সংগৃহীত ডেটা প্রক্রিয়াকরণের জন্য ডিজিটাল অংশে প্রেরণ করা হয় ।
___________________________________________________________________________________
* সুপার কম্পিউটার (Super Computer)- আকৃতিগত দিক থেকে সর্ববৃহৎ এই কমিপউটারের তথ্য সংরক্ষণ ও তথ্য প্রক্রিয়াকরণের ক্ষমতা অত্যন্ত শক্তিশালী ও দ্রুত গতি সম্পন্ন। বিপুল প্রত্রিয়াকরণের কাজে ব্যবহৃত অধিক ব্যয়বহুল এই কম্পিউটার সাধারণত বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও বৃহৎ প্রতিষ্ঠানে ব্যবহৃত হয়। উদাহরণ: CRAY 1, CRAY X MP CYBER 205ত তোমায় বাদশাহ আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুল আজিজ ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজীতে শাহীন নামের একটি সুপার কমপিউটার স্থাপন করা হয়েছে, যা উন্নত বিশ্বের বাহিরে সবচেয়ে শক্তিশালী সুপার কমপিউটার।
* মেইনফ্রেম কম্পিউটার (Mainframe Computer)- সুপার কম্পিউটারের চেয়ে ছোট কিন্তু অন্যান্য কম্পিউটারের চেয়ে বড় , এ ধরনের কম্পিউটার একই সঙ্গে অনেকগুলি গ্রহণ মুখ/ নির্গমন মুখ এবং অনেক রকম সহায়ক স্মৃতির সাথে সংযোগ রক্ষা করে কাজ করতে পারে। বড় বড় প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের কম্পিউটারের ব্যবহার দেখা যায়। উদাহরণ UNIVAC 1100 / 01 IBM6120 IBM4341, NCR CON8370, DATA GENERAL CS30
* মিনি কম্পিউ(Mini Computer) -মাঝারি ধরনের এ শ্রেণীর টি সাধারণ টেবিলে বসানো সম্ভব। শ্রেণীর কম্পিউটারের টার্মিনালের মাধ্যমে অনেক ব্যবহারকারী কাজ করতে পারে। এ ধরনের কম্পিউটারের কেন্দ্রিয় প্রক্রিয়াকরণ অংশের জন্য সাধারণত একক বোর্ড বিশিষ্ট বর্তনী ব্যবহৃত হয়। উদাহরণ PDP11 NOVA, IBM 5/34,1BM 5/36 ইত্যাদি।
* সার্ভার(Server) - কার্য পরিধীর উপরে ভিত্তি করে কমপিউটারকে দুইভাবে ভাগ করা যায়। তার একটি হলো সার্ভার। ইহা একটি শক্তিশালী কেন্দ্রীয় কমপিউটার যার সাথে অনেকগুলি পিসি যুক্ত থাকে যাকে ওয়ার্ক ষ্টেশন বলে। ইহা সাধারনত একাধীক বিশেষ সিপিইউ দিয়ে তৈরী, যেমন ইন্টেল জিয়ন প্রসেসর।
* মাইক্রো কম্পিউটার (Micro Computer)- বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে জনপ্রিয় এ ধরনের কম্পিউটারগুলো আকৃতিগত দিক হতে ছোট এবং দামেও খুব সস্তা। কেন্দ্রীয় প্রক্রিয়াকরণ অংশের জন্য সাধারণত একক বোর্ড বিশিষ্ট বর্তনী ব্যবহৃত হয়। সাধারণত ব্যাংকের হিসাব সংক্রান্ত কাজে এ শ্রেণীর কম্পিউটার ব্যবহৃত হয়। উদাহরণ IBM PC. APPLE iMac ইতাদি। মাইক্রোকম্পিউটার বা পার্সোনাল কম্পিউটারকে তিনটি শ্রেণীতে ভাগ করা হয়। যথাঃ ১. সুপার মাইক্রো (Super Mitra) 2. ডেস্কটপ (Desktop) ৩. ল্যাপটপ (Lap Top)
* সুপার মাইক্রো(Super Micro)- সুপার মাইক্রো কম্পিউটার সবচেয়ে শক্তিশালী মাইক্রো কম্পিউটার। এর আরেক নাম ওয়ার্ক স্টেশন (Work station)। এ শ্রেণীর কম্পিউটারের ক্ষমতা মিনি কম্পিউটারের কাছাকাছি বিধায় এগুলো মিনিফ্লেমের স্থান দখল করে নিচ্ছে।
* ডেস্কটপ (Desktop)-এ শ্রেণীর কম্পিউটার সহজেই একটি ডেখ এর উপর রাখা যায় বলে এগুলো ডেস্কটপ কম্পিউটার বলা হয়। উদাহরণ আইবিএম পার্সোনাল কম্পিউটার, এপল মেকিনটোশ ইত্যাদি।
* ল্যাপটপ (Lap Top)- ডেস্কটপ কম্পিউটার অপেক্ষা ক্ষুদ্র কম্পিউটার গুলো ল্যাপটপ নামে পরিচিত। এগুলোর দেখতে ছোট এ্যাটাচি কেসের মতো ও বহনযোগ্য এবং কাজ করার সময় Lap বা কোল- এর উপর রেখে কাজ করা যায় বলে এগুলোকে বলা হয় ল্যাপটপ কম্পিউটার। ম্যাকিনটোশ পাওয়ার বুক (Macintosh Power Book) রনের কম্পিউটার। ল্যাপটপ কম্পিউটার গুলোকে আবার দুই শ্রেণীতে ভাগ করা যায়।
* নোট বুক (NoteBook)- ছোট ডায়েরী বা নোটবুকের আকৃতির ল্যাপটপ কম্পিউটার গুলো এই নামে পরিচিত। এগুলোর পাওয়ার বুঝ ও বলা হয়। -
* পিডিএ (PDA-Personal Digital Assistance) সাব-নোট বুক । ইহাকে পামটপ বা পকেট পিসিও বলা হয়।